আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ। এদিকে নির্বাচ নের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ময়না ও জাহাঙ্গীরের (কাপ-পিরিচ) প্রতিকে জন সমর্থন ততোই বাড়ছে।
এতে তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও গোদা গাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থেকে বেশ ফুরফুরে মেজা জে রয়েছেন। অন্যদিকে অধিকাংশক্ষেত্রে প্রতিপক্ষরা কর্মী সংকটে পড়ে বিপাকে রয়েছে, কেউ কেউ মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, ময়না ও জাহাঙ্গীর এমপি অনুসারী মুল স্রোতের আদ র্শিক, পরিক্ষিত নেতৃত্ব এবং চেনা পথ। তাদের দীর্ঘ রাজ নৈতিক জীবন ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা ৫ বছরে প্রতিদিন যদি ৫ জন করে মানুষের উপকার করে থাকেন।তাহলেও তো তারা ৫ বছরে ৯ হাজার ১২৫ জন মানুষের উপকার করে ছেন। সেই বিবেচনায় এই মানুষগুলো তো ভোটের মাঠে এখানো তাদেরই পক্ষে রয়েছেন।
আর যদি তারা দুটি করেও ভোট করেন, তাহলেও তাদের প্রায় ২০ হাজার রিজার্ভ ভোট রয়েছে।নএই বিবেচনায় প্রতিপক্ষদের কি আছে, কি বিবেচনায় মানুষ তাদের ভোট দিবেন ? অধিকাংশ প্রার্থী এই হিসেব মেলাতে গিয়ে কর্মী সংকটে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করার মনোবল হারিয়েছেন বলে নেতাকর্মীরা মনে করছে।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ময়না-জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী করতে কোমর বেঁধে একট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে এলাকায় সাধারণ ভো টারদের মধ্যে বোধদয় হয়েছে এটা স্থানীয় নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। কাজেই সরকারি দলের অদৃশ্য সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
যার জ্বলন্ত উদাহরণ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।বিগত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করে কিভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহীর মানুষ সেটা ভুলেনি। এই বিবেচনায় তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃ ক্ত থাকতে কোনো ব্যক্তি নয়, সরকারী দলের অদৃশ সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় চাই। কারণ হিসেবে তারা বলছে, স্থানীয় রাজ নীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন ইত্যাদি এমপিদের নিয়ন্ত্রণে, কাজেই এমপি অনুসারীদের বঞ্চিত করে এমপি বিরোধীদের ভোট দেয়া মানে নিজের পাঁয়ে কুড়াল মারা।
অপরদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অভিমান বা মোহের বসে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল।
তারা সেই ভুল অনুধাবন করে এখন অনুতপ্ত। এবার তারা শপথ নিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে এমপির অদৃশ্যে সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে তারা তাদের সেই ভুল শোধরাতে চাই।#