জীবননগর প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩৫) নামের এক স্বাস্থ্য কর্মীকে ক্লিনিকের ভেতরেই গলা কেটে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী ।
গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজা খাতুন জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ার কবির হোসেনের স্ত্রী ।
জানা যায়, গতকাল ২৭ জানুয়ারি (শনিবার) সকালে মা ক্লিনিকে কর্মরত হাফিজা খাতুনের সাথে দেখা করে স্বামী কবির হোসেন (৩৮)।
এসময় কবির তার হোসেন স্ত্রী হাফিজার সাথে তুমুল বাকবি তণ্ডতা করে ক্লিনিক থেকে ফিরেজান। এবং রাত ৮টারদিকে সবার চোখকে ফাকি দিয়ে ঘাতক স্বামী চুপি চুপি হাফিজার ঘরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে কৌশলে পালিয়ে যায় ।
ক্লিনিকের এক সহকর্মী বিউটি খাতুন জানান , রাতে ক্লিনি কের দ্বিতীয়তলায় হাফিজার সাথে আলাপচারিতা শেষে তৃতীয় তলায় যান।
পরবর্তীতে কিছুক্ষন পর দ্বিতীয়তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি ।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজা খাতু নকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা এসএম জাবিদ হাসান জানান, এঘটনার আড়াই ঘন্টা মধ্যেই ঘাতক স্বামী কবির হোসেনকে জীবননগর বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং রবিবার সকালে পোস্টমর্টেমের জন্য মরগে পাঠানো হয় ।
এই ঘটনায় নিহতর ভাই মিলন বাদি হয়ে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।