আমিনুল ইসলাম বজলু, পাইকগাছা(খুলনা)ঃ
অবশেষে ঐতিহাসিক জনপদ বিনোদগঞ্জ (কপিলমুনি) পৌরসভা প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাবে বিনোদগঞ্জ ছাড়া অন্য চারটি পৌরসভা হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা পৌরসভা, পাবনার সাথিয়া উপজেলাধীন কাশি নাথপুর পৌরসভা, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন সাদু ল্লাপুর পৌরসভা এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার অন্ত র্গত রৌমারী পৌরসভা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন সরকারের প্রথম নিকার সভায় এ সংক্রান্ত প্রাস্তাবটি অনুমোদন হবে। সভার তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী মাসে এই সভা হতে পারে।

নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌর সভা, থানা গঠন বা স্থাপনের প্রস্তাব এবং সম্প্রসারণ বা
পূনর্গঠনের জন্য সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

পৌরসভা বাস্তবায়ন আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ জানান, শতবর্ষ আগে বিংশ শতকের গোড়ার দি কে খুলনা জেলার কপিলমুনির বরেণ্য ব্যবসায়ী রায় সাহবে বিনোদ বিহারী সাধু কপিলমুনিবাসীর সকল নাগরকি সুযো গ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন প্রয়োজনীয় সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

তার প্রচেষ্টাতেই কপিলমুনি হয়ে ওঠে এই অঞ্চলেরঅন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও ধর্মীয় প্রতি ষ্ঠান নির্মান করে তিনি হয়ে ওঠেন আধুনিক কপিলমুনির রূপকার।

এই কপিলমুনি রয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সশস্ত্র যুদ্ধে জয় এবং গণআদালতের রায়ের মাধ্যমে দেড় শতাধিক যুদ্ধপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস।

আধুনিক কপিলমুনির স্বপ্নদ্রষ্টা রায় সাহেবের জীবণাবসানের পর নানান বাস্তবতায় তার উদ্যোগগুলো মুখ থুবড়ে পড়লেও বর্তমান সরকারের স্বদিচ্ছায় বিনোদগঞ্জ পৌরসভা গঠনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ।

 

One thought on “অবশেষে বিনোদগঞ্জ পৌরসভা অনুমোদনের প্রস্তাব”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *