মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে গাছ আলু চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন পুরণ করতে চলেছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষকরা বিশেষ প্রদর্শ নীর আওতায় তাদের জমিতে গাছ আলু চাষ করেছেন।

প্রতি বিঘা জমি থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লভের প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।

এক সময় এসব গাছ আলু বিভি ন্ন বনে জঙ্গলে পরিত্যক্ত গাছে এবং বাঁশঝাড়ে লতানো আকারে জন্মাতো।

খাদ্য হিসেবে মানুষের কাছে তেমন পরিচিতি ছিলনা।

তবে কিছু মানুষ এগুলো আগুনে পুড়িয়ে খেতেন। বর্তমানে সেই জঙ্গলের গাছ আলু কৃষি বিভাগের কৃন্দল কর্মসূচীর আওতায় বানিজ্যিকভাবে চাষ করতে কৃষ কদের উৎসাহিত করছেন।

কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনু যায়ী মান্দা উপজেলায় ১০টি প্রদর্শনী ক্ষেতে গাছ আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। সম্পূর্ন নতুন জাতের একটি ফসল চাষের এই আগ্রহ স্থানীয় সাংবা দিকদের দৃষ্টি কেড়েছে।

প্রতিবিঘা জমিতে বীজ আলু, সার, পরিচর্যা ইত্যাদি বাবদ মোট খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এই এক বিঘা জমি থেকে গাছের উপরে কমপক্ষে ৪৫ মন এবং মাটির নিচে আরও ১০ মন আলু উৎপাদিত হবে।

বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতি মন পাইকারী ১৬০০ টাকা হিসেবে মোট আয় হবে ৭০ থেকে ৭২ হাজার টাকা। চাষের থরচ বাদ দিয়ে একজন কৃষক প্রতি বিঘায় নীট লাভ করবেন ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

এসব প্রদর্শনী ক্ষেক ইতিমধ্যেই এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যপত সারা ফেলেছে। অনেক কৃষক তাঁদের জমিত চাষ করবেন বলে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শায়লা শারমিন বলেছেন গাছ আলু মানুষের খাদ্য হিসেবে অনেক গুনগত মানের এবং পুষ্টিসম্পন্ন। গাছ আলু চাষ করতে তেমন কোন ঝক্কিঝামেলা নেই। সার কীটনাশক কিংবা পরিচর্যাও তেমন করতে হয়না।

খুব অল্প খরচ এবং অল্প পরিচর্যায় গাছ আলু চাষ করে অধিক লাভ করা সম্ভব। যার ফলে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী

এ উপজেলায় অনেক কৃষক গাছ আলু চাষে এগিয়ে এসে ছেন। আরও কৃষকরা গাছ আলু চাষে আগ্রহ প্রকাশ করলে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবে কৃষি বিভাগ বরে তিনি উল্লেখ করে ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *