আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সান্তাহার সাই লো তে পুরাতন যন্ত্রাংশ বিক্রির দরপত্র হওয়া মালামাল ওজন ছাড়াই সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে সাইলো অধীক্ষকের বিরুদ্ধে।

দরপত্র অনুযায়ী ১৯ প্রকার যন্ত্রাংশের আনুমানিক ৮টনের মতো মালামাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট সরবরা হের কথা থাকলেও ওজন ছাড়াই গুদামে দশ বছরের জমা কৃত বিপুল পরিমান মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানির পর এলাকায় নানা জনে নানা কথা বলছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি সান্তাহার সাইলোর অকে জো পুরাতন যন্ত্রাংশ নিলামি বিক্রির জন্য জেলা খাদ্য নিয় ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই দর পত্রে জিআই পাইপ কেজিতে, জিপ গাড়ির ব্যাটারী সংখ্যায়, স্ক্যাপ ম্যাটেরিয়াল, কলভেয়ার বেল্ট, বাঁশ ও কাঠসহ ১৯
প্রকার মালামাল টন হিসাবে সরবরাহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আর এসব মালপত্রের দর ধরা হয় মাত্র ৯৫ হাজার ৫৮৫ টাকা। এ কাজ পান ঠিকাদার বগুড়ার রেজাউল করিম ডাবলু।

মঙ্গলবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ওজন ছাড়াই মালামাল
সরবরাহ করা হয়েছে বলে সাইলো অধীক্ষক শাহারিয়ার মো. সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযাগ উঠেছে।

জানতে চাইলে স্টোর সহকারী সাইলো অপারেটিভ মাসুদ রানা ওজন করে সরবরাহ করা হয়নি স্বীকার করে বলেন, দরপত্রের আনুমানিক ওজন অনুযায়ী মালপত্রগুলো সরব রাহ করা হয়েছে। সাইলো অপারেটিভ সঞ্জয় কুমার জানান, অকেজো মালামাল ওজন হয়না।

কমিটি যে মালপত্রগুলো দেখিয়ে দিয়েছিল সেগুলোই সরবরাহ করা হয়েছে।

ঠিকাদার রেজাউল করিম ডাবলু বলেন, ‘নিয়মের বাহিরে আমি মালপত্র নিতে পারবো না। দরপত্র অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মালপত্র বুঝিয়ে নিয়েছি।’

এব্যাপারে সান্তাহার সাইলো অধীক্ষক শাহারিয়ার মো. সালাউদ্দীন জানান,এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাজী সাইফুদ্দীন জানান, দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আরসি ফুড অনুমোদন দিয়েছে।

দরপত্রে সংখ্যার মালপত্রগুলো সংখ্যায় আর ওজনের মাল পত্র ওজন করেই নিতে হবে। দরপত্র বাস্তবায়নের জন্য এক টি কমিটি রয়েছে সেই কমিটি মালপত্রের তালিকা করে দিয়ে ছেন। কিন্তু তিনি (সাইলো অধীক্ষক) যদি মালপত্রের আলাদা তালিকা করেন সেটি আমার জানা নেই। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *