রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও: দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁ ও। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ব্যতীত চারটি উপজেলায় সীমান্ত ঘেঁষা।
পাশ্ববর্তী দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাশা পাশি ও সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় এ জেলায় শীতের প্রকোপবেশি থাকে। সবার আগে শীত আসে মাঝখানে জেকে বসে।
আবার সবার পরে শীতের বিয়োগান্ত ঘটে। তবে শীতের জেলা হলেও এ জেলার মানুষ জানতে পারেন না কোনদিন কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিন কাটে তাদের।
এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষক ও পেশাজীবি মানু ষেরা।
শীতের দাপটে এ জেলার মানুষ অভ্যস্ত হলেও এবারে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন।
চলতি বছরের শুরুতে শীতের প্রকোপে পরেছেন জেলার মানুষ। সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত চারপাশ আর হিমা লয়ের হিম শীতল বাতাসে স্থবির হয়ে পরেছে জনজীবন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ২৮ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৬ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৮ ডিগ্রি সেল সিয়াস। গত পাঁচ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।
অথচ আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক তাপমাত্রার তথ্য বিভ্রান্তিতে পড়েছেন জেলার সকল মানুষ।
আবহাওয়া অফিস না থাকার ফলে, গণমাধ্যম কর্মীরা সঠিক তাপমাত্রার খবর প্রচার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরেছেন কৃষকেরা। অনেকের আলু ক্ষেতে পচন রোধ ও বোরোধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়ে ছে। সারাদেশে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না প্রতিষ্ঠান গুলো।
এতে করে তীব্র শীতেও শিক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে।
ঠাকুরগাঁও জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি রেজাউল প্রধান বলেন, শীতের সময়ে তাপমাত্রা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের আপডেট দিতে হয়।
অনেক সময় পাশ্ববর্তী জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য নিতে হয়। আবার কখনো মুঠোফোনে দেখে তথ্য দিতে হয়। এতে করে আমরা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হই।
ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রাখার কথা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস না থাকার কারনে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মুঠোফোনে একেক সময় একেক রকম তাপমাত্রা দেখা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত।
আবহাওয়া অফিস হলে আগ থেকে পূর্বাভাস জানা সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকরা ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, জে লায় আবহাওয়া অফিস হলে ভালো হয়।
আমরা বিষয়টি অধিদপ্তরকে অবহিত করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *