স্টাফ রিপোর্টার, পুঠিয়া (রাজশাহী)ঃ পুঠিয়া পৌরসভার চারানি বাজারের  বিসিআইসি ডিলারের দোকানে সার না পেয়ে  কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফারুক ও মামুন নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ইসাহকের সারের দোকানে এ মারধোরের ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত ফারুক ও মামুন বারইপাড়া খাঁপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান চিকুর ছেলে ও আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফের ভাই।
সার ব্যবসায়ী ইসাহক আলী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি সুনামের সাথে সার ব্যবসা করছি।
আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং সচিব আরিফ মাঝে মধ্যেই ফো ন দিয়ে তার ভাইকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার দিতে বলতো।
সে কারণে ফারুক আমার কাছ থেকে বেশি সার ক্রয় কর তো। লোক মুখে শুনেছি সেই সার ফারুক তার দোকানে বিক্রি করতো। ফারুকের কীটনাশকের লাইসেন্স রয়েছে কিন্তু সার বিক্রির লাইসেন্স নেই।
সার বিক্রি লাইসেন্স না থাকলেও সচিবের দাপট দেখিয়ে সার বিক্রি করতো ফারুক।
মাঝেমধ্যই আমার দোকানে এসে তারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার নিয়ে যেত। আমি সার দিতে রাজি না হলে আমার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিত তারা।
আজকেও সার ক্রয় করতে আসে ফারুক। আমার দোকানে স্যার না থাকায় আমি তাকে সার দিতে পারিনি। তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমি সহ দোকানের কর্মচারীদের গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকে।
দোকান থেকে চলে যেতে বললে ফারুক কল করে ছোট ভাই মামুনকে ডেকে আনে দোকানে। মামুন দলবল সহ উপস্থিত হয়ে দোকানে ঢুকে আমার কর্মচারিদের মারপিট শুরু করে।
পরে ইট দিয়ে আমার দোকানের কর্মচারী মোজাহার মোল্লার নাকের উপর আঘাত করে মামুন। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
খবন পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কর্মচারী মোজাহার কে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে, তার অবস্থা  গুরুতর হওয়ায় রামেক হাসপা তালে পাঠানো  হয়। বর্তমানে সে রামেক হাসপাতালে চিকিৎ সাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তারিখঃ ১৮-০৩-২০২৪
One thought on “পুঠিয়ায়  সার না পেয়ে বিসিআইসি ডিলারের দোকানের কর্মচারীদের মারধোরের অভিযোগ ”
  1. পুঠিয়ায়  সার না পেয়ে বিসিআইসি ডিলারের দোকানের কর্মচারীদের মারধোরের অভিযোগ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *