রাকিব হাসান, মাদারীপুর:মাদারীপুরের কৃতি সন্তান নাট্যকার আ.জ.ম কামাল। ১৯৫৬ সালের ৯ মার্চ মাদারীপুর শহরের তার জন্ম।

পিতা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় মাদারীপুর ফরিদপুর গোপালগঞ্জ রাজবাড়ী লেখাপড়া করেছেন।

মাদারীপুর পাবলিক ইনস্টিটিউশন থেকে এসএসসি পাস করেন, সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পাস করেন।

সেই সাথে নিয়মিত নাট্যচর্চার প্রত্যায়ে সংগঠক ও নাট্যকর্মি হিসেবে বাশার মাহমুদের সহযোগিতায় মাদারীপুর নাট্যগো ষ্ঠীর মাধ্যমে কাজের সূচনা করেন।

নাট্যকর্ম: ১৯৭২ সালেরস্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে মেঘদূত পরিচালিত মহামুক্তি উৎসব অনুষ্ঠানে মঞ্চ ডিজাইনের কাজ করেন।

এরপরে ১৯৭৬ সাল থেকেই মাদারীপুরে নাট্যগোষ্ঠীর নিয় মিত প্রযোজনা ও পরিবেশনা নাট্যকলা ব্যক্তিত্ব বাসার মাহমু দ পরিচালিত বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছিলেন।তার উল্লেখ যোগ্য নাটকের মধ্যে নকশিকাঁথার মাঠ, ওরা কদম আলী, সুবচন নির্বাসনে, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন ফাস, চোর চোর, ফলাফল নিম্নচাপ, এখন দুঃসময় সহ অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন।

১৯৮১ সালে নাট্য আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়ে টার ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মাদারীপুর নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য হন।

বিভিন্ন সময় কার্যকরী পরিষদের বিভিন্ন পদ থেকে দেশব্যাপী নাট্য আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

ফলশ্রুতিতে দেশের বিভিন্ন নাট্য ব্যক্তিত্বদের সাথে তার পরিচ য় ঘটে। যাদের সাথে তার আত্ত পরিচয় হয় তারা হলেন, মর হুম মোঃ জাকারিয়া, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসি মজুম দার, আবদুল্লাহ আল- মামুন, উদ্দিন ইউসুফ, বাচ্চু, সেলিম আল দিন, লিয়াকত আলী লাকী, এস এম সুলাইমান, পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, শংকর সজোয়াল, মান্নান হিরা, মামুনুর রশিদ, মানস বঙ্গোপাধ্যায়, আরিফ হায়দার, এবং ভারতের শ্রদ্ধাভা জন হাবিব তানভির, বাদল সরকার, উৎপল দন্ত, সম্ভ্র মিত্র, তৃপ্তি মিত্রসহ অনেকের কাছ থেকে নাটকের বিভিন্ন রকমের কাজ শেখেন। অবদানঃ নির্দেশনা শুরু হয় প্রসাদ বিশ্বাসের জবাবদিহি নাটকের মাধ্যমে।

এরপর থেকে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, গ্রাস, রাক্ষস, বাসন, পেজগী, মহারাজার অনু প্রবেশ, একটাই চাওয়া, বৈচ্য পাগল সহ অনেক নাটকে নির্দেশনা দেন তিনি।

এরপরে ১৯৮৯ সালে ফরিদপুরে আন্তঃজেলা নাট্য উৎসবে নিজ জেলার ইতিহাস বিষয়ক রচিত সেলিম আল দিনের বাসন নাটকের নির্দেশনা দেয় তিনি।

১৯৯৯ সালে জাতীয় শিশু কিশোর নাট্য উৎসবে সুযোগ চাই মানুষ হবো নাটকে নির্দেশনা দেন।তারপরে ২০১২ সালে মুক্তি যুদ্ধভিত্তিক জাতীয় নাট্য উৎসবে একটাই চাওয়া নাটকের নির্দেশনা দেন ২০১৩ সালে স্বপ্ন ও দ্রোহের জাতীয় নাট্য উৎ সব বৈচ্য পাগল নাটকের নির্দেশনা দেন এবং ২০১৪ সালে সাহিত্যিক ভিত্তিক জাতীয় নাটক উৎসবে কবর নাটকের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন, ২০০৪ সাল থেকে মাদারীপুর লিগাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের নাট্যদলের সাথে বৃহত্তর ফরিদপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের নাটক করেন। যা এখন চলমান, এছাড়া

বিভিন্ন নাটকের মঞ্চকলা বিষয়ক কাজ করেন। সম্মাননা: ১৯৯৩ উদীচী মাদারীপুর জেলা সংসদের পর্ব থেকে শ্রেষ্ঠ মেকাপ আর্টিস্ট সনদপত্র পান। ২০১০ সালে প্রথমা রঙ্গমঞ্চ কালকিনি নাট্য অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পান। ২০১১ সালে শুভকাশ ইশারা মাদারীপুর থেকে সম্মা ননা পান, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা সংগঠন মাত্রা তাকে সম্মা ননা দেন।

পরিবার: ৪ ভাই ৩ বোন। বড় ভাই আ জ ম জালালকে স্বাধী নতা যুদ্ধের পাকবাহিনীরা ধরে নিয়ে নিম্নভাবে হত্যা করে।

তার স্ত্রী চাকুরীজীবি বড় মেয়ে অন্তরা আবৃত্তির সাথে সংযু ক্ত, ছোট মেয়ে রুলস মিয়া অভিনয় করতেছে পছন্দ করে। এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *