সুভাষ দাশ তপন,শ্রীমঙ্গল  প্রতিনিধি:
বুধবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্বোধন হচ্ছে  প্রভু জগ দ্ববন্ধুর  বাংলাদেশতথা ভারতের বৃহৎ আশ্রম ও মিশন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় শ্রীমঙ্গল ভৈরবতলী এ লাকায়  প্রভু জগদ্ববন্ধুর  মন্দির প্রাঙ্গনে  শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্ববন্ধু আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বন্ধু প্রিতম ব্রহ্মচারী এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, এটি বাংলাদেশে শ্রী শ্রী জগদ্ববন্ধুর সবচে য়ে বড় আশ্রম এবং একমাত্র জগদ্ববন্ধু মিশন। বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী এর যাত্রা শুরু হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট ধর্মগুরুরা এসে উপস্থিত হয়েছেন।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, অনুষ্ঠানমালায় আমন্ত্রন জানানো হয়েছে বাং লাদেশ সকারের তিনজন উচ্চপদস্থ তিনজন মন্ত্রী কে। তাদে রও উপস্থত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই আশ্রমে ৫শত ভক্ত নিবাস করা হয়েছে।
এখান থেকে দেয়া হবে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শি ক্ষা। দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করবে এ মিশন।
এ সময় উপস্থিথ ছিলেন ভারত থেকে আগত মহানাম সম্প্র দায়ের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রীমৎ উপাসক বন্ধু ব্রহ্মচারী, মহানাম সম্প্রদায়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  শ্রীমৎ বন্ধু গৌরব ব্রহ্মচারীসহ ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আগত মহারাজবৃন্দ।
এ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে প্রায় দেড় লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটার কথা রয়েছে বলে জানান বন্ধু প্রিতম ব্রহ্মচারী।
আয়োজনও করা হয়েছে সেই অনুপাতে। ইতিমধ্যে ভক্ত ও ব্রহ্মচারীসহ  সহ¯্রাধিক  অতিথি এসে পৌছেছেন শ্রীম ঙ্গলে।
এ অনুষ্ঠানে আরো যোগ দেয়ার কথা রয়েছে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের  রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার এর সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী সম্পুর্নান্দ মহারাজ, কলকাতার পর্ঠিয়া বাবা শ্রীমৎ স্বামী বৃন্দাবন বিহারী দাস, ভারতের বেঙ্গালুরের আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটির প্রফে সর ড. ইন্দু লেখা গুহ, মহানাম সম্প্রদায় বাংলাদেশের সাধা রণ সম্পাদক  শ্রীমৎ মৃগাঙ্ক শেখর ব্রহ্মচারী ও ফরিদপুর শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ নিকুঞ্জ বন্ধু ব্রহ্মচারী।
চারদিন ব্যাপী অনুষ্টান মালায় রয়েছে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও অনুষ্ঠানমালার শুভ অধিবাস।
২৯ ফেব্রুয়ারি অষ্ট প্রহর নামযজ্ঞ, শ্রীশ্রী বিগ্রহগণের অভি ষেক ও মন্দির প্রতিষ্ঠা ও ১৪ মাদল সন্ধ্যা আরতি।
১ মার্চ  মন্দিরের শুভদ্বার উদঘাটন, ১০৮ মাদলসহ নগর সংর্কীতন, ধর্মসভা ও পদাবলী কীর্তন।
২রা মার্চ ভক্তিগীতি, সাধু সম্মেলন ও বাংলাদেশ ভারতীয় দুই দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তিনি জানান এ অনুষ্ঠানমালায় প্রায় দেড়লক্ষ ভক্তের জন্য প্রসাদসহ অনান্য আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *