রাকিবুল হাসান মাহমুদ,বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ সরকারি চাকরির বয়স প্রায় শেষ, আর ২ দিন বাকি অবসরের অথচ অনেকটা সময় ধরে অবৈধভাবে পকেটে টাকা ঢুকত দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের। শুধু তাই নয়, রয়েছে বরাদ্দকৃত প্রায় ১ কোটি টাকার নিয়ে প্রশ্ন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় প্রতিটি সরকারি বরাদ্দের পর সেখান থেকে কিছু পরিমান কমিশন তার নিজ পকেটে ঢুকত। সাজ্জাদ হোসেনকে এবস বিষয়ে প্রশ্ন করতেই সাংবাদিকদের টাকার প্রলোভন দেখান তিনি।
চলতি বছরে প্রায় বেশ কয়েকটি বরাদ্দে মোট ৯২ লাখ ৯০ হাজার টাকার মধ্যে মোট প্রায় ৪ লাখ ২২ হাজার টাকা কমিশন হিসেবে নিয়েছে এবং বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
এছাড়াও গত ২০২২ অর্থ বছরে ৪৮টি স্কুলে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে প্রায় ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়, যেখানে কাজ বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন সন্দেহজনক প্রশ্ন উঠে আসছে।
স্কুলগুলোতে কাজ বাস্তবায়ন দেখে এনওসি দেওয়া হবে, এখনও দেওয়া হয়নি বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী হুমযুন কবির। এছাড়াও ক্ষুদ্র মেরামতের কাজটি বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর ১ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল অথচ এখন তা দেওয়া হয়নি। এতে প্রশ্ন থেকে যায়, আদৌও কি কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে নাকি হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ঘাবড়ে যান তিনি। ভয় পেয়ে ক্যমেরায় ভিডিও চলাকালে সাংবাদিকদের টাকা সহ বিভিন্ন উপহারের প্রস্তাব দেন তিনি।
উক্ত বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পাল’কে জানালে তিনি এবিষয়ে কিছু অবগত নন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *