বেনাপোল প্রতিনিধিঃযশোরের শার্শায় জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রেহেনা খাতুন (৩৮) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

এ ঘটনায় শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

অভিযোকারী রেহেনা খাতুন জানান, বিগত অনুমান ০৯ বছ র পূর্বে রেহেনা খাতুনের বিবাহ হয় শার্শা উপজেলার বাগা ডাঙ্গা গ্রামের মোঃ জবেদ আলী’র পুত্র বুলবুল আহম্মেদ (৪৩) এর সাথে।

বুলবুল আহম্মেদ’র আগের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার মিনি সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর রেহেনা খাতুনকে বিবাহ করে বুলবুল। আমি যেখানে থাকি সেখানে ১১.৩৪ শতক জমি, যাহার ০৬ শতক জমি আমার স্বামীর নামে আছে।

বিগত অনুমান ০৩ বছর পূর্ব হতে আমি বুঝতে পারি যে, আ মার স্বামী তার প্রথম স্ত্রীর সহিত সকল প্রকার যোগাযোগ রাখিয়াছে এবং বিগত অনুমান ০১ বছর পূর্বে আমাকে কিছু না জানিয়ে দেশে আসে ও রাবেয়া আক্তার মিনিকে উক্ত ০৬ শতক জমি দলিল মূলে লিখে দেয়। তবে উক্ত জমির আমার ঘর করা সামনের অংশ তারা প্লান করে লিখে নেয় এবং ইতিপূর্বে উক্ত জমি তারা বিক্রয়ের জন্য অনেক চেষ্টা করে। যাতে আমি বাঁধা প্রদান করায় রাবেয়া আক্তার মিনি ও তার ভাই আব্দুল্লাহ আমাকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে খুন জখ মসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে।

তারইজের ধরিয়া ইং-১৯/০৩/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী ও রাবেয়া আক্তার মি নির পরামর্শে আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে শার্শা থানাধীন শ্যামলাগাছি গ্রামস্থ আমার বসত বাড়ীতে মোটরসাইকেল যোগে আসিয়া আমাকে ডাক দেয়। আমি ঘর হতে বাহির হলে আব্দুল্লাহ তার সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ০২ জনকে নিয়া আমার ছেলেকে খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি তাদের কাছে যাওয়া মাত্র আব্দুল্লাহ আ মার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, ওজন অনুমান দেড় ভরি, মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/-টাকা নিয়ে নেওয়া মাত্র অ জ্ঞাতনামা ০২জন আমাকে আমাদের উঠান হতে বাঁশের লাঠি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। যাতে আমার ডান পায়ের আঙ্গুল ভাঙ্গাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফো লা জখম হয় এবং আমাদের জিম্মি করিয়া ঘরের বারা ন্দায় বসাইয়া রেখে আব্দুল্লাহ আমাদের ঘরের সোকেচের ড্রায়াওে মধ্যে থাকা নগদ ১,৫০,০০০/-টাকা নিয়ে নেয়। আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাতনামা ০২জন ব্যক্তি উক্ত টাকা ও আমার গলার স্বর্নের চেইন নিয়া ও আমাদের মারধোর করিয়া বলে যে, আমরা যদি বাঁচতে চাই তবে উক্ত ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যথায় তারা আমাদের সুযোগ পাইলে খুন করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে।

পরে আমি অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স, শার্শা হতে আমার শরীরের ও পায়ের প্রাথ মিক চিকিৎসা নিই এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমি আমার পরিবারের লোকজনদের জানাইয়া থানায় আসিয়া অভি যোগ দায়ের করিলাম।

এব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনি রুজ্জামান বলেন, সকালে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *