ডেস্ক নিউজ:যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপের ব্যাংকে বড় ধাক্কা লেগেছে। বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে সুইজারল্যান্ডের অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ব্যাংক।
এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করতে এগিয়ে এসেছে সুইজার ল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইউবিএস এজি।
তবে প্রতিষ্ঠানটি এই ব্যাংক কিনতে সরকারের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের নিশ্চয়তা চেয়েছে।
আলোচনার বিষয়ে অবগত আছেন এমন এক ব্যক্তি বলেন, সুইস ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দুই পক্ষ একসঙ্গে একটি চুক্তির দিকে হাঁটছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন ঋণদাতা সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতনের ফলে ব্যাংকিংখাতে অশান্তির শুরু।
সেই অস্থিরতার জেরে ১৬৭ বছরের পুরোনো ক্রেডিট সুইস ব্যাংকও ঝুঁকিতে পড়ে।
রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইউবিএস সরকারের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের গ্যারান্টি চাইছে।
একটি সূত্র সতর্ক করে জানিয়েছে, ক্রেডিট সুইসের আস্থার সংকট সমাধানের জন্য আলোচনা
উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে এবং দুই ব্যাংক একত্রিত হলে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।
জাগোনিউজ সোমবার শেয়ারবাজার পুনরায় খোলার আগে সুইস নিয়ন্ত্রকরা ক্রেডিট সুইসের জন্য একটি সমাধানের জন্য দৌড়াচ্ছে।
তবে এ ব্যাপারে ক্রেডিট সুইস, ইউবিএস ও সুইস সরকার কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।
সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক, এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক নতুন ফান্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর গত বুধবার একদিনেই শেয়ারের ৩০ শতাংশ দর পতন ঘটে ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের।
১৬ মার্চের প্রথম দিকে, ক্রেডিট সুইস জানায়, এটি তারল্য বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নেবে।
৯ মার্চ ক্রেডিট সুইস আমেরিকার প্রধান আর্থিক নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটি জ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের শেষ মুহূর্তের ফোনকলের পর তার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব ঘোষণা করে।
ফলে ফার্মের আর্থিক-রিপোর্টিং সিস্টেমে ‘বস্তুগত দুর্বলতার’ কারণে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ক্রেডিট সুইসের একটি বিকল্প হলো ইউবিএসের সঙ্গে টাই-আপ করা।
জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে ইউবিএস এজির সঙ্গে একীভ‚ত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে।
তবে সরকারের ইউবিএসকে এ ব্যাপারে বাধ্য করার এখতিয়ার নেই। সূত্র: রয়টার্স