ডেস্ক নিউজঃ আজ সেই ভয়াল কাল রাত। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মানবেতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় মেতে ওঠে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। তাদের নির্মমতায় ঢাকা শহরে নেমে এসেছিল মৃতু্যর বিভীষিকা। স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে আজও বাঙালি সেই কাল রাতের কথা স্মরণ করে আতঙ্কে কেঁপে ওঠে।

কুখ্যাত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিকল্পিত গণহত্যা চালায় নিরস্ত্র-ঘুমন্ত বাঙালির ওপর। পাকিস্তানি নরপশুদের হিংস্র থাবা থেকে সেই রাতে নিরীহ পথচারী, গলির ভিক্ষুক, নারী থেকে শিশু, ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী কেউই রেহাই পায়নি। ওই অভিযানে হত্যা করা হয় অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে। গণহত্যা চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসসহ গোটা ঢাকাকে মৃতু্যপুরীতে রূপান্তরিত করা হয়।

বসন্তের শেষভাগের এই দিনের পড়ন্ত বিকালে মৃদুমন্দ দুলছিল প্রান্তরের ঘাস। ধীরে ধীরে গোধূলির রঙে রক্তিমাভ আকাশ মিশে গেল অন্ধকার রাতের নিস্তব্ধতায়। নতুন কিশলয় ছোঁয়া নরম বাতাস গায়ে মেখে শান্ত স্বভাবের বাঙালি তখন একটু স্বস্তির প্রতীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কেউ কেউ পড়ার টেবিলে।

কেউ হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঘুমাতে যাওয়ার। এমন সময় নেমে এলো মৃতু্যর বিভীষিকা। অন্ধকার। চারিপাশে ট্যাংকারের গর্জন। আগুন। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে পাখ-পাখালির ভয়ার্ত ওড়াউড়ি। পাকিস্তানি সেনাদের হিংস্র থাবায় রক্তে রঞ্জিত হলো বাংলার মাটি। পাক বাহিনী ঘটাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নারকীয় হত্যাকান্ড।

এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের আদেশে পরিচালিত, যা ১৯৭০-এর নভেম্বরে সংঘটিত ‘অপারেশন বিস্নটজ’-এর পরবর্তী সামরিক সংস্করণ। মধ্যরাতের এ হত্যাযজ্ঞ চলে পিলখানার ইপিআর সদর দপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও ইকবাল হলে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। একই সময়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় অন্যান্য বড় ৫ শহরেও। গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

এর আগে তিনি ওয়্যারলেস বার্তায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সবাইকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ার আহ্বান জানান। পাকিস্তানি হায়েনাদের হাত থেকে এই দিন রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডক্টর মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি।

এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদীর ‘৭১ এর দশ মাস’ বই থেকে জানা যায়, ২৫শে মার্চ সকালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। ভুট্টো বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুধু বলেন, ‘পরিস্থিতি সংকটজনক।’ বৈঠকের পরই ঢাকায় সেনাবাহিনী নামার গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

২৫শে মার্চ সকাল থেকে দিনভর হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে জড়ো হন। বঙ্গবন্ধু এই দিনও বেশ কয়েকবার বাসার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বেশি আগ্রহী। এ অবস্থায় আমাদের পথ আমাদেরই দেখতে হবে। সবাইকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সেদিন ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠক করেই জেনারেল ইয়াহিয়া গোপনে বৈঠক করেন ইস্টার্ন জোনের সামরিক প্রধান লে. জেনারেল টিক্কা খান, চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান, মেজর জেনারেল মিঠঠা খান, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলিসহ উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারদের সঙ্গে। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়নের অনুমোদন হয় বৈঠকে। রাত পৌনে ৮টায় গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া।

ভুট্টোও রাতে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। ২৫শে মার্চের এই গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালির জাতীয়তাবাদী, স্বাধিকার আন্দোলনকে দমন করার পাশাপাশি পাকিস্তানি নরপশুদের আসল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বড় বড় শহর দখলে নেওয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। কিন্তু অকুতোভয় বাঙালি পরদিন থেকে এর পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এবং সূচনা ঘটায় স্বাধীনতা যুদ্ধের।

এই দিনের গণহত্যার ঘটনায় বাঙালিদের ক্রুদ্ধও আরও বেশি প্রতিবাদমুখর করে তোলে। আপামর বাঙালি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় এবং বাঙালিরা দখলদারি পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ২২শে ফেব্রম্নয়ারি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর এক বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবনার ভিত্তিতে মার্চের শুরুতে ১৪তম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি এই অপারেশনের মূল পরিকল্পনা তৈরি করেন। এদের পেছনে ছিলেন জেনারেল গুল হাসান। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েতা থেকে ১৬তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন এবং খরিয়ান থেকে ১৯তম ডিভিশনকে ফেব্রম্নয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী তার ‘৭১ এর দশ মাস’ বইয়ে আরও উলেস্নখ করেছেন, পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস অ্যাডমিরাল এস এম আহসান পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের ওপর সামরিক হামলার বিরোধী ছিলেন বলে অপারেশনের আগেই এই দু’জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেখানে বেলুচিস্তানের কসাইখ্যাত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও জিওসি করে পাঠানো হয়। মার্চের ১৭ তারিখ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সিওএস জেনারেল হামিদ টেলিফোন করে জেনারেল রাজাকে অপারেশনের পরিকল্পনা করার দায়িত্ব দেন।

১৮শে মার্চ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের জিওসি কার্যালয়ে বসে জেনারেল রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি অপারেশনের পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিকল্পনাটি জেনারেল ফরমান নিজ হাতে হালকা নীল রঙের একটি অফিস প্যাডের ৫ পাতা জুড়ে লিড পেন্সিল দিয়ে লিখে নেন।

ধারণা করা হয় যে, বাঙালি সেনারা অপারেশনের শুরুর সময় বিদ্রোহ করবে, তাই পরিকল্পনাকারীরা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলাপকালে বাঙালি সৈন্যদের অপারেশনের আগেই নিরস্ত্র করা এবং বাঙালি রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রস্তাব দেন। পরিকল্পনাটি ২০শে মার্চে আবার জেনারেল হামিদ এবং লে. জেনারেল টিক্কা পর্যালোচনা করেন।

অবশেষে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে এই অভিযান শুরু হয় ২৫শে মার্চ রাতের শেষ প্রহরে এবং অন্যান্য গ্যারিসনকে ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জিরো আওয়ারে (অপারেশন শুরুর পূর্বনির্ধারিত সময়) তাদের কার্যক্রম শুরু করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। ঢাকার সৈন্যদের কমান্ডে ছিলেন রাও ফরমান আলি এবং অন্য সব স্থানের সেনাদের কমান্ডে ছিলেন জেনারেল খাদেম হোসেন রাজা। জেনারেল টিক্কা এবং তার কর্মকর্তারা ৩১তম কমান্ড সেন্টারের সব কিছু তদারকি করা এবং ১৪তম ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫শে মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চলল মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করল ঘরবাড়ি, দোকানপাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হলো। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠল শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’ এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে।

পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’ ২৫শে মার্চের গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে নিরস্ত্র মানুষের ওপর সামরিক আক্রমণের জন্য কুখ্যাত এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার জ্বলন্ত সাক্ষী।

২৫শে মার্চের ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকান্ডের মধ্যেও ফিনিক্স পাখির মতো বাঙালি জাতির উত্থান ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হানাদারদের পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জনের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ও ঐতিহাসিক গৌরবের। ২০১৭ সাল থেকে দিনটি ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের কাজও চলছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছে। সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫শে মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।

বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময়ে দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পালন করা হবে নানান কর্মসূচি।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখবেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

ঢাবির কর্মসূচি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষক সমিতি এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বালন, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

রাত সাড়ে ১০টায় ১ মিনিট জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় ‘বস্নাক-আউট’ কর্মসূচি বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার মসজিদসমূহ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

সূত্রঃ যায়যায় দিন

One thought on “রক্তাক্ত ভয়াল কাল রাত আজ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *