আম্তর্জাতিক ডেস্ক:গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১শ১২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৪৮ জন আহত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের তাণ্ডবে ৭৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।

সেখানে খাবার, পানি, ওষুধ এবং নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।

ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটা রিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ইউএনওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) অনু মান করছে যে, গাজার প্রায় ১২ লাখ শিশুর এখন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা প্রয়োজন।

গত কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার।

খান ইউনিস এবং রাফাহের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে যাওয়া র সময় একটি বেসামরিক গাড়ি এবং একটি মালবাহীগাড়ি হামলার শিকার হয়। এতে শিশু সহ চারজন নিহত হয়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আক স্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরা য়েলি বাহিনী।

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

এর মধ্যে ১১ হাজারের বেশিই শিশু। চার মাসেরও কম সময়ে এত সংখ্যক শিশুর প্রাণ গেলো অবরুদ্ধ এই উপ ত্যকায়।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাফা এলাকায়ও হামলার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।

এর আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

উত্তর গাজার হামাদ স্কুলের কাছে ‘কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে’ অন্তত ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। তাদের হত্যার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

তাছাড়া গাজায় অব্যাহত হামলা পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, শিগগির গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *