রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃঠা কুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে অন্যায়ভাবে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ই মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি বলেন, প্রশাসনিক কারণে সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে তদন্ত ওসি জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনসহ পাঁচ জন পুলিশের নামে ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান পুলক।

মামলা আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন।

এছাড়াও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা রুজু করার আদেশ দেন বলে জানান জেলা দায়রা ও জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।

মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সন্তুষ্ট আইজীবী ও বাদী। তারা আশা করছেন ন্যায় বিচারের।

আসাদুজ্জামান পুলক ঢাকা মেইলকে বলেন, আর অন্য কারও সঙ্গে যেন এমন অন্যায় না হয় তাই আদালতের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রেখে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব। এছাড়াও আদালতে আমার চিকিৎসার রির্পোটগুলো জমা দেওয়া হয়েছে।

উলেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় ঝামেলা চলছে এমন অভিযোগে পুলিশ রকি ও আসাদুজ্জামান পুলককে আটক করে। পরে তাদের থানায় নিয়ে টর্চার করে পুলিশ।

গভীর রাতে পুলক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে জেল হাজতে পাঠান।

পরে ২ মে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পুলককে আবারও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে তার পরিবার। পুলক বুধবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রিলিজ নেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *