নিহত মোদাচ্ছের সিকদার টুমচর গ্রামের মৃত মোসলেম সিকদারের ছেলে।
তাঁর মৃত্যু নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। আকন পক্ষের দাবি, হাজী গ্রুপের বোমা হামলায় মোদাচ্ছের মারা গেছেন।
অপরদিকে হাজী পক্ষের লোকজনের দাবি, মোদাচ্ছের সিকদার পার্শবর্তী কালকিনি উপজেলার পৈন্তারচর এলা কায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে হাতবোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানান,আকন পক্ষের লোকজন বুধবার ভোরে এলাকায় প্রবেশের সময় হাজী পক্ষের লোকজন প্রতিহত করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় । এ ঘটনায় কমপক্ষে আরো ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, চলতি বছর ৩ জানুয়ারি বাটা মারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের হাজী পক্ষের রুবেল শাহ হত্যার ঘটনায় ৪৫ জনের নামে মামলা হলে আকন পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এরপর ওই এলাকায় হাজী পক্ষের আধিপত্য চলতে থাকে। রুবেল শাহ হত্যা মামলার আকন পক্ষের বেশ কিছু আসামি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বিভিন্ন তারিখে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়ে বুধবার ভোররাতে এলা কায় প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এ খবর পেয়ে হাজী পক্ষের লোকজন আজিজ ডাক্তারের বাড়ির কাছে জোড়া ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেয় এবং তাদে র প্রতিহত করে।
এ সময় উভয় পক্ষ ব্যাপক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। মুহুর্মুহু হাতবোমার বিস্ফোরণে টুমচর ও আশপাশের এলা কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জাগরনী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বাটামারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকি দার) মোঃ মিন্টু জানান, হাজী ও আকন পক্ষের আধিপত্যের দ্বন্ধে হাতবোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।শুনেছি এতে একজন মারা গেছে।
নিহত মোদাচ্ছের সিকদারের চাচাতো ভাই দাদন সিকদার জানান, বুধবার ভোররাতে মোদাচ্ছের ও অন্যরা নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে টুমচর এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন।
টুমচরের জোড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সুলতান সরদারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক হামলা চালায় এবং আতঙ্ক ছড়া তে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে মোদাচ্ছের সিকদারের দুই হাত ও মুখমন্ডল ঝলসে যায় এবং হারুন ঢালী, রমজান খান, মাসুদ ঢালী, তোফাজ্জেল হাওলারসহ ১০-১১ জন আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে এর মধ্যে মোদাচ্ছের সিকদার মারা যান।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহতের লাশ বর্তমানে কালকিনির নতুন আন্ডার চর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছে।
এ ব্যাপারে হাজী পক্ষের তরিকুল ইসলাম পলাশ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘রুবেল শাহ হত্যা মামলার আসামিরা বুধবার ভোররাতে টুমচর এলাকায় ঢুকে ২০–২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
ওই সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাত সন্দেহে তাদের ধাওয়া করলে হাতবোমার বিস্ফোরণ আহ তোরা পালিয়ে কাল কি নির নতুন আন্ডারচর এলাকায় অবস্থান করেন মোদাচ্ছের সিকদার, হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।পরে নাকি আহত মোদাচ্ছের মারা গেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকারিয়া হাতবোমা বিস্ফোরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মুলা দী উপজেলার মধ্যে হাতবোমা বিস্ফোরণে কারও মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
তবে কালকিনি উপজেলায় বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কিছু বলা যা চ্ছে না। তবে যে বাড়িতে বোমা তৈরি হচ্ছিল তাকেও আই নের আওতায় আনা হবে।