বিনোদন ডেস্ক: বিশ্ব নাট্য দিবস ২৭ মার্চ। ১৯৬২ সাল থেকে সারা বিশ্বে প্রতি বছর এই দিনটি উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হয়ে আসছে। বরাবরের মতো বাংলাদেশেও আড়ম্বর আয়োজনে বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) দিনটি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও পথনাটক পরিষদের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্বজুড়ে সকল নাট্যকর্মী ও শিল্পীর মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি ও সৌহার্দ্য স্থাপন, নাটকের বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে এর শক্তিকে নতুন রূপে আবিষ্কার করার লক্ষ্যেই দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

নাট্যকর্মী, অভিনয়শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ শিল্পকলা একাডেমির অংশগ্রহণে বিকাল ৫টায় নাট্য দিবসের শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সামনে থেকে বের হয়ে চারুকলা ভবনে গিয়ে শেষ হয়। সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় আয়োজন করা হয় প্রীতি সম্মিলনীর।

সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আয়োজিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা পর্বে ছিল বিশ্ব নাট্য দিবসের বাণী পাঠ, দিবসের জাতীয় বাণী প্রদান, নাট্য দিবস সম্মাননা প্রদান এবং দিবসের বক্তৃতা।

আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিটিউট বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সেলিম, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা এবং বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান।

এবার নাট্য দিবসের আন্তর্জাতিক বাণী দিয়েছেন মিশরের বরেণ্য অভিনেত্রী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সামিহা আইয়ুব। তার বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাট্যজন লাকী ইনাম।

দিবসের জাতীয় বাণী দিয়েছেন বরেণ্য নাট্য অভিনেতা ও নির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে জাতীয় বাণী পাঠ করেন তিনি।

আলোচনা পর্বের পর নাট্য দিবসের সম্মাননা দেয়া হয়। করোনার কারণে গত তিন বছর কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ায় এবার বিগত বছরের সম্মননাও দেওয়া হয়। ২০২০ সালে নাট্য দিবসের সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন—নাট্যকার ও নির্দেশক মিলন চৌধুরী এবং অভিনেতা ও সংগঠক পরেশ আচার্য্য।

২০২১ সালে সম্মাননা পেয়েছেন—অভিনয়শিল্পী প্রয়াত লিলি চৌধুরী। শ্রদ্ধেয় লিলি চৌধুরীর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার ছেলে আসিফ মুনীর। সম্মাননা তুলে দেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সেলিম।

২০২২ সালে মরণোত্তর সম্মাননায় ভূষিত হন অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও নির্দেশক প্রয়াত মান্নান হীরা। মান্নান হীরার পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তার স্ত্রী সৈয়দা নাদিরা মান্নান।

এবার নাট্য দিবস ২০২৩ বিজয়ী হয়েছেন অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ। তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী।

পরে নাট্যদিবসের স্মারক বক্তৃতা দেন অভিনয়শিল্পী মাসুদ আলী খান। সভাপতির বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী। এরপর একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *