মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁর রাণীনগরে চাঁদা আদায়ের অর্থ দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযা পন করলো উপজেলা প্রশাসন।

অপরদিকে আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম না রাখায় নানা আলো চনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এমন খামখেয়ালীপনা বিতর্কিত নানা কর্মকান্ডের কারণে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম সম্পর্কে উপ জেলা প্রশাসন ও উপজেলাবাসীদের মাঝে বিরুপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, ২৬মার্চ (২০২৪খ্রি:) মহান
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক উপজেলার সকল ইট ভাটা থেকে দশ হাজার-পনের হাজার টাকা, আবাদপুকুর হাট থেকে পনের হাজার টাকা, ত্রিমোহনী হাট থেকে পাঁচ হাজার টাকা, ঠিকাদার গ্রুপের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া উপজেলা চাউলকল মালিক গ্রুপ, সকল বেকারী
ফ্যাক্টরী, বিভিন্ন সমিতি, এনজিওসহ অন্যান্য অর্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন খাত থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে।
সেই আদায়কৃত টাকা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সকল
কর্মকর্তাদের জন্য একই রকমের পাঞ্জাবী ও শাড়ী ক্রয় করা থেকে শুরু করে সকল আয়োজনে ব্যয় করার পর যা অবশি ষ্ট থাকে তা পকেটে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে জাতীয় দিবস উপলক্ষে ছাপানো উপজেলা
প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি।

এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনগড়া কান্ড নানা রকমের বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সম্মানী ব্যক্তিদেরও উপেক্ষিত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক ইটভাটার মালিক জানান ২৬মার্চ উদযাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ছোট ভাটাগুলোকে দশ হাজার টাকা আর থানা পুলিশকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিতে হয়েছে। টাকা দিতে একটু দেরি হওয়ায় চাঁদার টাকা নেওয়ার জন্য বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জিম্মি।

তারা যখন যে ভাবে যা বলে তা ইচ্ছে না থাকলেও করতে হয়।তা না হলে কারণ ছাড়াই নানা ভাবে হয়রানী করে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু মোবা ইল ফোনে জানান আমন্ত্রণপত্রে নাম না রাখার বিষয়ে ইউ এনওকে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি দেখছেন। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নতুন করে দেখার কোন অবকাশ নেই। নিয়ম অনুসারে আমন্ত্রণপত্রে অবশ্যই সম্মানসূচক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম রাখা বাধ্যতামূলক।

কিন্তু ইউএনও এমন কান্ড কেন করলেন তা আমার অজানা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আল হাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল মোবাইল ফোনে জানান প্রটোকল অনুসারে যে কোন জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। কিন্তু অনু ষ্ঠানে যদি স্থানীয় সাংসদ উপস্থিত থাকেন তাহলে তার সম্মা নার্থে এমপি পতাকা উত্তোলন করেন আর বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

সেই নিয়মানুসারে অবশ্যই আমন্ত্রণপত্রে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম রাখতে হবে
তানা হলে তাকে অপমানিত করা হয়।

থানার ওসি আবু ওবায়েদ মোবাইল ফোনে জানান যে জাতী য় দিবস উপলক্ষে কারো কাছ থেকে কোন প্রকারের সহযো গিতা গ্রহণ করা হয়নি। যে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি বলেছেন তিনি নিশ্চয় ভুল ও মিথ্যে বলেছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের
মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসাঅ্যাপে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *